বিদ্যালয়টি ১ একর ৩০ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এর সর্বমোট জমির পরিমাণ ৫.৩০ শতাংশ। বর্তমানে বিদ্যালয়ের ভবন সংখ্যা ৫টি। ২টি দ্বিতল পাকা ভবন। ৪র্থ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণাধীন। শ্রেণী কক্ষ- ১১টি, ল্যাবরেটরি হিসেবে ১টি বিজ্ঞানাগার হিসেবে ১টি, কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য ১টি, কারিগরি শাখায় ৩টি, পাঠাগার হিসেবে ১টি, প্রধান শিক্ষকের ১টি, কমন রুম ২টি, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মিলনায়তন ১টি। আধুনিক বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতার লক্ষ্যে আইসিটি কার্যক্রম সাধারণ ও কারিগরি শাখায় পরিচালিত হয়। বিদ্যালয়ের শ্রেণী পাঠদানের পাশাপাশি সহপা্যক্রমিক কার্যাবলী হিসেবে ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বির্তকের সুব্যবস্থা আছে।
বৃহত্তম ফরিদপুর জেলা বর্তমান রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে ঐতিহ্যবাহী প্রাচীণতম বিদ্যাপীঠ ব্রিটিশ শাসন আমলে পুনঃ স্থাপিত হয় জার্ডেন ইস্কিনার সাহেবের পরিত্যক্ত নীল কুঠি বাড়িতে। উক্ত নীল কুঠি পাইকপাড়া ষ্টেট ক্রয় সূত্রে মালিক।
বিদ্যালয়টি স্থাপনের সংগৃহীত পূর্ব মৌকুড়ী মৌজায় তথ্যের পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ থেকে জানা যায় শিক্ষানুরাগী বাবু বিপ্রদাস চৌধুরী তাঁদের নিজস্ব জমি জমার উপর আমতলা বাজার। বাজারটির দক্ষিণে চৌধুরী বাবুদের খননকৃত একটি পুকুর উক্ত পুকুরের দক্ষিণ পাড়ের চালায় বিপ্রদাস বাবু স্কুল প্রতিষ্ঠিত করেন ১৯০৮-১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে। সাধারণত নিম্ন বর্ণের হিন্দু ও মুসলমানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে লেখাপড়ার কোন সুযোগই ছিল না।
বালিয়াকান্দির আমতলার চৌধুরী বাবুদের গোষ্ঠির শ্রী লাল মোহন চৌধুরী তৎকালীণ পুলিশ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মচারী ছিলেন। বিপ্রদাস চৌধুরীর পুত্র কার্তিক চৌধুরী, মানিক চৌধুরী, বেনু চৌধুরী, কালা চৌধুরী (চির কুমার)। লালমোহন চৌধুরী পুলিশ বিভাগে চাকুরী সূত্রে দাপটে স্বভাব। এ কারণে সাধারণ প্রজাদের মধ্যে এক প্রকারের লাল পাগড়ির ভিতি সঞ্চার হতো। তিনি দেশের বাড়ি এলে আঞ্চলিক পুলিশের তৎপর বাড়াবাড়ির কারণে এবং এ জমিদার গোষ্ঠির প্রজা পীড়নের কাহিনী চাউর হয়। অন্যদিকে বালিয়াকান্দির বরফ চৌধুরী, হরিণাথ চৌধুরী, নগেন চৌধুরী, ফৈজি চৌধুরী গোষ্ঠির প্রজাহিতৈষী কর্মকান্ডের কল্যাণে তাদের আচার আচরণ এলাকার প্রজা ও সাধারণ মানুষ প্রীত। এরা প্রজাদের আপদে বিপদে সাহায্যঢালি নিয়ে এগিয়ে যান। এ বংশের বরফ চৌধুরী সুনামখ্যাত ব্যবসায়ী। কলকাতায় কোলে ব্লিডিং নামে তাদের একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ছিল। ফৈজি চৌধুরী বিপ্লবী চরিত্রের, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বোমবিং এর সময় জাহাজ ডুবির কবলে পড়েন। উক্ত জাহাজের সবাই সলিল সমাধি- কিন্তু দৈব্যক্রমে ফৈজি চৌধুরী জীবনে বেঁচে যান। দেশের বাড়ী ফরিদপুর জেলার বালিয়াকান্দিতে ফিরে আসেন এবং উৎসাহী যুবকদের নিয়ে বিপ্লবী সংগঠন সৃষ্টির মাধ্যমে সমাজের অন্যায় অবৈধ কর্মের প্রতিবাদ করে ন্যায়ের সংগ্রামে আত্ম নিয়োগ করেন।
ফৈজি চৌধুরীর অনুসারীগণ বিপ্রদাস চৌধুরীদের অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদে আমতলা পুকুর পাড়ের স্কুল সংলগ্ন বিপ্রদাস বাবুদের লাঠিয়াল বাহিনীদের আড্ডা খানায় অগ্নি সংযোগ করে, এতে স্কুল ঘরটিও পুড়ে যায়।
স্থানীয় জমিদারবৃন্দ ও গাঁও গ্রামের প্রভাবশালী কৃষক মাতুববরবৃন্দের বৈঠক হয়। উক্ত বৈঠকের সিদ্ধামত্ম মোতাবেক বালিয়াকান্দির প্রাণ কেন্দ্রে নীলকুঠিয়ালদের পরিত্যক্ত কুঠিবাড়িতে বালিয়াকান্দি হাই স্কুল পুনঃস্থাপিত হয় ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে।
১. খোদেজা বেগম - সভাপতি
২. রনজিৎ কুমার দাস - শিক্ষক প্রতিনিধি
৩. খোঃ মনির আজম - শিক্ষক প্রতিনিধি
৪. মাধবী সরকার - সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি
৫. আব্দুল মালেক খান - অভিভাবক সদস্য
৬. এম, এমরুল আহসান - অভিভাবক সদস্য
৭. বাচ্চু মন্ডল - অভিভাবক সদস্য
৮. আলী আজম - অভিভাবক সদস্য
৯. সাহিদা পারভীন - সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য
১০. পঙ্কজ কুমার কর - সদস্য সচিব, প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত)
১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে- কেতাবউদ্দীন আহম্মদ, অঙ্কে লেটারসহ প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন এবং সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত হয়ে কুমার বাহাদুর বৃত্তি লাভ করেন।
১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে- বাবু ভূবন চন্দ্র কর, লেটারসহ মেট্রিক পাস করেন।
১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে- সত্যজিৎ ভদ্র, লেটারসহ মেট্রিক পাস করেন।
১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে- আবুল কালাম খান, বিজ্ঞান বিভাগে ষ্টার মার্ক পেয়ে পাস করেন।
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে- ইলিয়াস মোল্লা, বিজ্ঞান বিবাগে ষ্টার মার্ক পেয়ে পাস করেন।
১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে- শেখ মহঃ রেজাউল ইসলাম, কৃষিতে ষ্টার মার্ক পেয়ে পাস করেন।
১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে- সমরেন্দ্রনাথ সান্যাল, কৃষিতে ৪র্থ স্থান অধিকার করেন।
১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে- চৌধুরী মনজুরুল কবির, কৃষিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে- ১। মোঃ শাহজাহান আলী, ২। মোঃ নাছির উদ্দিন ষ্টার মার্ক সহ ১৮ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে- ১। মোঃ আবু আলম ২। মীর মিজানুর রফিক- ২ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে- ১। খন্দকার শহীদুল ইসলাম ২। কাজী ফেরদৌস রহমানসহ ১৩ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে- ১। মোঃ আব্দুস সালাম ২। জাহিদুল ইসলামসহ ১৭ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে- ১। কামরুল ইসলাম ২। মনিরুজ্জামান সহ-০৯ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে- ১। ইয়াকুব আলী ২। বিপুল মন্ডলসহ ১২জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে- ১। সনৎ কুমার সাহা ২। আঃ কাদেরসহ ৫জন ষ্টার ও ২২ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে- ১। সাইফুল ইসলাম ২। আব্দুর রহমানসহ ১৭ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে- ১। মোঃ আনিচুল আলম ২। বিষ্ণুপদ কুন্ডুসহ ৭ জন ষ্টার ও ৩৬ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে- ১। মানবেন্দ্র মন্ডল ২। কামরুল হাসানসহ ১১ জন ষ্টার ও ৫৪ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে- ১। ফরহাদ হোসেন ২। আব্দুল্লাহ আল জোবায়েরসহ ৮ জন ষ্টার ও ৩৮ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে- ১। বিপ্লব মন্ডল ২। আল আমিন মোল্যাসহ ১০ জন ষ্টার ও ৪৫ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে- ১। সুশিত ২। সুপদ রায়সহ ৮ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে- ১। কবির আল মামুন ২। মহসিন খানসহ ৫ জন ষ্টার ও ২০ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে- ভরত মন্ডলসহ ১৮ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে- ১। দেবব্রত রায় ২। সঞ্চয় চৌধুরীসহ ৪ জন ষ্টার ও ১৪ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
২০০০ খ্রিস্টাব্দে- ১। রাজিবুল ইসলাম ২। কিছলু নোমানসহ ২ জন ষ্টার ও ১৭ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
২০০১ খ্রিস্টাব্দে- ১। অনুপ কুমার কর ২। অচিমত্ম কুমার কুন্ডুসহ ৬ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
২০০২ খ্রিস্টাব্দে- ১। মিঠুন সাহা ২। ফয়জুর রহমানসহ ৬ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
২০০৩ খ্রিস্টাব্দে- ১। মাহমুদ হাসান ২। জিয়াউর রহমানসহ ৩ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
২০০৪ খ্রিস্টাব্দে- ১। সাহিদুল ইসলাম ২। রক্তিম দাসসহ ২ জন এ+ ও ৪ জন এ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
২০০৫ খ্রিস্টাব্দে- ১। আমির ফয়সাল ২। চন্দন সূত্রধরসহ ১ জন এ+ ও ১২ জন এ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
২০০৬ খ্রিস্টাব্দে- ১। ইমরান মাহমুদ ২। সুদেব সাহাসহ ১ জন এ+ ও ৬ জন এ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
২০০৭ খ্রিস্টাব্দে- ১। নিলয় চক্রবর্তী ২। আশরাফুজ্জামানসহ ২ জন এ+ ও ৬ জন এ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
২০০৮ খ্রিস্টাব্দে- ১। কাজী রমজান আলী ২। মোসত্মফা কামালসহ ৪ জন এ+ ও ৮ জন এ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
২০০৯ খ্রিস্টাব্দে- ১। নিউটন শিকদার ২। আশিফ আল মামুনসহ ৩ জন এ+ ও ১২ জন এ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
২০১০ খ্রিস্টাব্দে- ১। শোভন বিশ্বাস ২। সিহাব উদ্দিনসহ ১ জন এ+ ও ১৪ জন এ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
২০১১ খ্রিস্টাব্দে- ১। রনি কুন্ডু ২। কাজী রজব আলীসহ ১ জন এ+ ও ১৪ জন এ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
২০১২ খ্রিস্টাব্দে- ১। শাজনীন রহমান বাধন ২। মতিউর রহমানসহ ৩ জন এ+ ও ২৭ জন এ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
২০১৩ খ্রিস্টাব্দে- ১। চৌধুরী আনজুম নাহিদ ২। নিবির হাসান রচিসহ ২ জন এ+ ও ১৬ জন এ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
২০১৪ খ্রিস্টাব্দে- ১। জিল্লুর রহমান ২। অভিষেক চক্রবর্তীসহ ২ জন এ+ ও ৩৮ জন এ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস