পদ্মার মানস কন্যা চন্দনা নদী। চন্দনা নদী প্রবাহে উঙ্খিত বালির দ্বীপ বা চরের কান্দা বা কিনারে বালিয়াকান্দি। বালি ও কান্দি এ দুনামের সমন্বয়ে বালিয়াকান্দি। হড়াই, চন্দনা, চত্রা আর গড়াই পলি বাহিত বালিয়াকান্দি। পদ্মা ও গড়াই নদীর জেগে উঠা চরাঞ্চল নিয়ে বালিয়াকান্দি। বালি+কান্দা মিলিত শব্দের সাথে আঞ্চলিক আ যোগে বালিয়াকান্দি নামকরন হয়েছে। বালি+আ+কান্দ+ই = বালিয়াকান্দি। কান্দি - স্ক, কান্দ-কাধ। নামের উৎপত্তিগত অর্থ কাধের উপর বা নদীর কান্দির বা কান্দা বা স্কন্দের উপরিভাগে যে বালু বা বালুময় ভূ-খন্ড এ স্থানটি বালিয়াকান্দি।
ষোড়শ শতকে ভুষন্না পরগনার অন্তর্গত জমিদার মুকুন্দ রামের অধীন ছিল বালিয়াকান্দি। বৃটিশ শাসনামলে ভুলুয়া পরগনার রানী হর্ষমূখীর জমিদারীর অন্তর্ভূক্ত ছিল বালিয়াকান্দি। ঐতিহাসিক নীল বিদ্রোহের পর বালিয়াকান্দি থানার জন্ম [১৮৫৯-৬০]। ১৮৫৭ সালে কুমারখালী মহকুমা সৃষ্টি হলে বালিয়াকান্দি কুমারখালী মহকুমার অন্তর্গত হয়। ১৮৬৩ সালে কুমারখালীর পরিবর্তে কুষ্টিয়া মহকুমা স্থাপিত হয়। ১৮৭১ সালে কুমারখালীসহ কুষ্টিয়া মহকুমা পাবনা জেলাধীন ছিল। লর্ড ডালহৌসির সময় ঢাকা জামালপুর ভেঙ্গে ফরিদপুর জেলা গঠিত হলে গোয়ালন্দ ফরিদপুরের অন্তর্গত হয়। বালিয়াকান্দি ও পাংশা থানাকে কুষ্টিয়া মহকুমার অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ১৯৮৩ সালে সরকারের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরনে প্রতিটি থানাকে মান উন্নীত থানায় রুপান্তরিত করলে বালিয়াকান্দি এর অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৯৮৩ সালের ১৮ জুলাই থেকে সরকারী অধ্যাদেশের বলে মান উন্নীত থানাকে উপজেলায় রুপান্তরিত করলে বালিয়াকান্দি উপজেলা হয়।
বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রথম উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ বদরুল হুদা। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মো: মাসুম রেজা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস