উপজেলার ঐতিহ্য :
ইসলামপুর ইউনিয়নের রামদিয়াতে এক প্রকার চিনি উৎপাদন হত যা বাটা চিনি হিসাবে খ্যাত। বর্তমানে এই অঞ্চলে রামদিয়ার রামের মটকা অতি বিখ্যাত। নবাবপুর ইউনিয়নের সোনাপুরে একসময় প্রচুর খয়ের উৎপাদন হত এবং আজও যৎসামান্য থয়ের উৎপাদিত হচ্ছে। সোনাপুর অঞ্চলে প্রচুর খয়ের গাছ দেখা যায়। বহরপুর ইউনিয়নের আড়কান্দিতে বৃহৎ নৌযান নির্মানের কেন্দ্র ছিল। আড়কান্দি তখন বেগমান নদী চন্দনার পার্শ্ববর্তী বানিজ্য কেন্দ্র।
বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদীতে নবাব এষ্টেট ছিল। পরিবারটি ষোড়শ- সপ্তদশ শতক থেকেই রাজ উপাধি মীর বংশের প্রতিষ্ঠা করেন। এ বংশে যেমন আছে মীর মোহাম্মদ আলী মত তৎকালীন ডাকসাইটে নবাব তেমনি আছেন খ্যাতিমান সাহিত্যিক বিষাদ সিন্ধু রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেন।
জার্ডেন ইস্কিনার নামে এক ইংরেজ সাহেব বালিযাকান্দিতে নীল কুঠি স্থাপন করেন। বর্তমানে বালিয়াকান্দি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মূখে তার ধ্বংশাবশেষ আজো বিদ্যমান।
বিভিন্ন লিপি ও পট্টলি থেকে পাওয়া এ অঞ্চলে সপ্তম ও অষ্টম শতকে বিভিন্ন কৌমভূক্ত উত্তর সূরীদের বসতি পাওয়া যায়। এরা হচ্ছে বাগদি, ঢোলবাহী , মুচি , চন্ডাল, চাগাল, বাউরি শ্রমজীবি, মালো , হাড্ডি ইত্যাদি সম্প্রদায়। বালিয়াকান্দি থানার জংগল ইউনিয়নের ৯৮% লোক শুদ্র পর্যায়ের। এদের শরীরের রং তামাটে পীতবর্নের। আচার আচারনে হিন্দুদের অন্যান্য বর্ণের চেয়ে আলাদা। মুখমন্ডল প্রশস্ত হলেও নাক কিছুটা দাবা। এরা পাল শাসনের সময় কৈবর্তের একটি অংশ। এরা প্রাচীন নিগ্রোপটু ও দ্রাবির গোষ্টির লোক ।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS